যশোর প্রতিনিধি:
যশোরে ডিজিটাল নিরাপত্তা ও পর্নোগ্রাফী এবং চাঁদাবাজির পৃথক তিন মামলায় বহুবিতর্কিত আনোয়ারুল কবীরকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষে কোতয়ালি থানার পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম, এসআই প্রদীপ কুমার রায় ও নরেন্দ্রপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই নাজমুল হাসান আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন।
অভিযুক্ত আনোয়ারুল কবীর যশোর শহরের শাহ আব্দুর করীম সড়ক খড়কিতে বসবাস করেন। বর্তমানে তিনি ঢাকার মিরপুর শেওড়া পাড়া পিরেরবাগ এলাকার বাসিন্দা।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে,যশোর জেলা ছাত্রলীগের ছাত্রী বিষয়ক সম্পদক ও সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক শেখ সাদিয়া মৌরিনের ফেসবুক আইডি থেকে ছবি সংগ্রহ করে আনোয়ারুল। এরপর ছবিগুলো এডিট করে আনোয়ারুল কবীর তার নিজ নামীয় ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট করে সম্মনহানি করে। এ অভিযোগে মৌরিন আনোয়ারুল কবীরসহ দুইজনকে আসামি করে কোতয়ালি থানায় মামলায় করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় আনোয়ারুল কবীরকে অভিযুক্ত করে ডিজিটাল নিরাপত্তা ও পর্নোগ্রাফি আইনে আলাদা চার্জশিট দিয়েছেন। এ মামলার অপর আসামি শহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অব্যহতির আবেদন করা হয়েছে।
অপর দিকে, ২০২৩ সালের ২৪ মে যশোর সদরের নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাজু আহমেদকে নিয়ে আনোয়ারুল কবীর মানহানিকর পোস্ট করে ফেসবুকে। এছাড়া হোটসআ্যাপের মাধ্যমে ৩ লাখ টাকা চাঁদাদাবির অভিযোগে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন রাজু। ওই মামলার তদন্ত শেষে আনোয়ারুল কবীরকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
এছাড়া, ২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে আসামি আনোয়ারুল কবীর যশোর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লাইজু জামান সম্পর্কে বিভিন্ন আপত্তিকার কথাবার্তা লিখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করে। এছাড়া তার হটসএ্যাপসে কল করে এক লাখ টাকা চাদা দাবি করে। চাদার টাকা না দিলে তার প্রচার অব্যহত থাকবে বলেও হুমকি দেয়। এ ঘটনায় মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী সিমু চৌধুরী বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে আসামি আনোয়ারুল কবীরকে চাদাবাজি ও মানহানির ঘটানোর অপরাধে অভিযুক্ত করে আদালতে এ চার্জশিট দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। অভিযুক্ত আনোয়ারুল কবীরকে সকল মামলায় আটক দেখানো হয়েছে।